ঢাকা , সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫ , ৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
শিশুশ্রমে আরও ১২ লাখ শিশু, চারজনে এক শিশুর রক্তে সীসা রোহিঙ্গা সংকট মোকাবেলায় টেকসই সমাধানের তাগিদ সব পক্ষের ইসি কারো হয়ে কাজ করবে না: সিইসি নারী কাবাডি বিশ্বকাপের ট্রফি উন্মোচন করলেন প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশের অর্থনীতিতে অনেক সমস্যা আছে তবে সম্ভাবনাও রয়েছে-অর্থ উপদেষ্টা সব সরকারি ভবন পরিবেশবান্ধব ‘গ্রিন বিল্ডিং’ করার আহ্বান উপদেষ্টা রিজওয়ানার পুলিশের ঊর্ধ্বতন পর্যায়ে বড় রদবদল পাঁচ ব্যাংক ধ্বংসে দায়ী পরিচালক-কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ অতীতের মতো প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচন জনগণ মানবে না শেখ হাসিনার রায় ঘিরে মাঠে থাকবে জামায়াতসহ ৮ দল সীতাকুণ্ডে সড়ক দুর্ঘটনায় ৪ জনের মৃত্যু, আহত ১৬ সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী শেখ হাসিনার রায় ঘোষণা নিয়ে ফের নৈরাজ্য সৃষ্টির জন্য পাঁয়তারা চলছে-মির্জা ফখরুল রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে ট্রাইব্যুনাল এলাকায় সেনা মোতায়েন চেয়ে চিঠি প্রশাসনে বইছে ভোটের হাওয়া ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ট্রাইব্যুনাল রায় যা-ই দিক, তা কার্যকর হবে-স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা শেখ হাসিনার রায় আজ সরাসরি দেখবে গোটা বিশ্ব সংসদ নির্বাচন ঘিরে বইছে উচ্ছ্বাসের জোয়ার দাবি পূরণের আশ্বাসে বিচারকদের কলম বিরতি কর্মসূচি প্রত্যাহার নৌপরিবহন অধিদপ্তরের পক্ষপাতমূলক আচরণ বন্ধসহ ১০ দাবি কোয়াবের
ইসির সংলাপে রাজনৈতিক নেতারা

অতীতের মতো প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচন জনগণ মানবে না

  • আপলোড সময় : ১৭-১১-২০২৫ ০৫:২৫:১৯ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১৭-১১-২০২৫ ০৫:২৫:১৯ অপরাহ্ন
অতীতের মতো প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচন জনগণ মানবে না
সংসদীয় আসনের সীমানা নিয়ে ইসির সিদ্ধান্তের বিপক্ষে আদালত হস্তক্ষেপ করছে, এটি কাম্য নয়। কারণ নির্বাচন কমিশন একটি স্বাধীন ও স্বতন্ত্র প্রতিষ্ঠান। তাই বিষয়টি তাদের এখতিয়ারেই থাকা উচিত। অতীতের মতো প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচন জাতি মেনে নেবে না। তাই নির্বাচনে সবার লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিতে নির্বাচন কমিশনকে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করা উচিত। গতকাল রোববার দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে আয়োজিত ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে সংলাপে এসব অভিমত ব্যক্ত করেন ছয়টি রাজনৈতিক দলের নেতারা। সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত প্রথম ধাপের সংলাপে গণফোরাম, গণফ্রন্ট, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ, ইসলামী ঐক্যজোট, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি (বিএসপি) এবং বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন। এ সময় সিইসি এ এম এম নাসির উদ্দিন ও নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদসহ অন্যান্য সচিব ও কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সংলাপে প্রতিটি দলের প্রতিনিধিরা আলাদা আলাদা করে নিজেদের মতামত ব্যক্ত করেন। গণফোরামের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সুব্রত চৌধুরী বলেন, ‘গণভোট যেন শেষ পর্যন্ত হাস্যকর কিছুতে পরিণত না হয়, সেই বিষয়ে ইসিসহ সংশ্লিষ্টদের লক্ষ্য রাখতে হবে।’ তিনি নির্বাচনে সব দলের লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিতের দাবি জানান। তিনি বলেন, ‘বিগত সরকারের সময়ে জনগণের ভোটাধিকার হরণ করা হয়েছিল। এবার সেটা হলে দেশের মানুষ মেনে নেবে না।’ ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের চেয়ারম্যান সৈয়দ বাহাদুর শাহ মোজাদ্দেদী বলেন, ‘দীর্ঘ ১৫ বছর জনগণের ভোট দেওয়ার পরিবেশ ছিল না। ফ্যাসিবাদী শক্তি একতরফা নির্বাচন করেছে। তাই আসন্ন নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা হওয়ায় মানুষের মধ্যে আশার সঞ্চার হয়েছে। তবে এখনও প্রতিনিয়ত আস্থাহীনতা কাজ করছে। কিছু রাজনৈতিক দল নির্বাচনি বৈতরণী পার হতে চায় যেনতেনভাবে। এমনটি হলে জনমনে ক্ষোভ আরও বাড়বে। এ জন্য কমিশনের আরও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে।’ ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব মুফতি সাখাওয়া হোসেন রাজি বলেন, ‘৫ আগস্টের আগে ফ্যাসিস্ট শক্তির সহায়তায় একটি চক্র আমাদের কেন্দ্রীয় কার্যালয় দখল করেছিল। আমাদের নেতাদের জেলে দেওয়া হয়। আর তারা ৫ আগস্টের পর আত্মগোপনে ছিল। অথচ আজ তারা এখানে এসে আমাদের আসন দখল করেছে। এতে আমরা ব্যথিত হয়েছি। যারা তিনটি নির্বাচনে ভোটাধিকার হরণ করেছে, তারা কীভাবে ভোট চাইবে তা বোধগম্য।’ গণফ্রন্টের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ব্যারিস্টার মো. আকমল হোসেন বলেন, ‘অতীতে তিনটি নির্বাচনে দেশের মানুষ ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেনি। এবার মানুষ উৎসবমুখর ভোটে শামিল হওয়ার জন্য উন্মুখ হয়ে আছে।’ এ ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনের পক্ষপাতমূলক আচরণ পরিহারের আহ্বান জানান। বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির অতিরিক্ত মহাসচিব, শাহ মোহাম্মদ আসলাম হোসাইন বলেন, ‘সুষ্ঠু নির্বাচন না হলে দেশের মানুষ হতাশ হবে। তাই কমিশনকে নির্বাচন বিতর্কিত করার যেকোনও অপচেষ্টা রুখে দিতে হবে।’

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ